আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে, যা শীতের আগমনের স্পষ্ট লক্ষণ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে, রাতের বেলা শীতের প্রভাব বেশি অনুভূত হতে পারে। দিনকালের তাপমাত্রার পার্থক্য বাড়ার ফলে সারা দেশে শীতের মৌসুমের আবহাওয়া আরও প্রকট হয়ে উঠতে পারে।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার কারণে আবহাওয়ার অস্থায়ী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে। এই লঘুচাপটি দেশের আবহাওয়ায় সরাসরি প্রভাব না ফেললেও এর ফলে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, যা শীতল আবহাওয়া তৈরি করতে সহায়ক হবে। তবে সারা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে, তবে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে, ফলে কিছুটা আরামদায়ক অনুভূতি হতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে, তাই দিনের বেলা গরম অনুভূত হতে পারে।
আগামী মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে, আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। এর ফলে, রাতের দিকে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
শীতের প্রস্তুতি ও সাধারণ পরামর্শ
এ সময়ে শীতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শীতের মৌসুমে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই বাড়তে পারে, তাই সবার উষ্ণ পোশাক প্রস্তুত রাখা উচিত। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ তাদের ঠান্ডা সহনশীলতা কম হয়। এছাড়া শীতকালে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাই ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো।
স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় রাখতে প্রচুর শাকসবজি ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শীতকালীন তাপমাত্রার পরিবর্তন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে, তাই যথাযথ পুষ্টি ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।